মায়া সভ্যতা এর ইতিহাস

মায়া সভ্যতা এর ইতিহাস ও তাদের জীবনযাত্রা

by mridul

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো মায়া সভ্যতা ও তার ইতিহাস সম্পর্কে। সময় টা ছিল ১০ ই মার্চ ১৬৯৭ খ্রিঃ দক্ষিন আমেরিকা বর্তমান গুয়েতেমালা যার চারপাশে জল মাঝে একটা ছোট দীপ মোটা দেয়ালে ঘেরা  যুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে একদিকে স্পেনিস বাহিনী ক্রমাগত  গোলাবর্ষনে চারপাশের দেয়ালে ভেঙ্গে পরছে,আর কিছু সময়ের ভিতরে ঢুকে পরবে স্পেনিস বাহিনী এবং ধুলিস্যাত করে দিবে প্রায় চার হাজার বছরের বেশি প্রাচীন সভ্যতার শেষ অস্তিত্ব টি ১৫০ বছরের লড়াইয়ের শেষ সিটি অফ নর্ত বেটিন ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে যেতে চলেছে তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার কাছে দক্ষিন আমেরিকার সভ্যতা ছিল বন্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন সেজন্য নতুন শক্তি পুরোনো সভ্যতাকে ধুয়ে মুছে দিয়েছিল।

আধুনিক বিশ্ব যেখানে গুয়েতেমালা, ব্রাজিলের উত্তর অংশ, মেক্সিকো, হান্ডোরাস ও এলসার্ভারডো আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে এখানেই শুরু হয়েছিল এক সভ্যতার যা পরবর্তী সময়ে সব থেকে প্রাচীন সভ্যতার একটি হয়েছিল। এই মহাবিশ্বে যেমন প্রতিটি জিনিস যেমন কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে এই প্রাচীন সভ্যতা হারিয়ে গিয়েছিল। চলুন  TechEdu360 টাইম মেশিনে ঘুরে আসি সেই সভ্যতার শুরু থেকে।

মায়া সভ্যতা এর শুরু

পৃথিবীতে যে কয়েকটি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তা কোনো না কোনো নদীর ধারেই গড়ে উঠেছিল কিন্তু মায়া সভ্যতার ক্ষেত্রে সভ্যতা কোনো বড় নদীর ধারে গড়ে উঠেনি বরং ঘন জংগলে গড়ে উঠেছিল। ঐতিহাসিক ভাবে মায়া সভ্যতাকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রি ক্লাসিকাল পিরিওড, যা ২০০০ খ্রিঃপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিঃ পর্যন্ত চলেছিল। এবং ২০০ খ্রিঃ থেকে ৯০০ খ্রিঃ পর্যন্ত  সময় কে বলা হয় ক্লাসিকাল পিরিওড আর ৯৫০ খ্রিঃ থেকে ১৫৩৯ খ্রিঃ পর্যন্ত সময় কে বলা হয় পোস্ট ক্লাসিকাল পিরিওড।

প্রাথমিক সময়ে আনুমানিক ২,৫০,০০০ মানুষ বসবাস করতেন। প্রি ক্লাসিকাল টাইমে এল মিরাডার শহর ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য। একই ভাবে ক্লাসিকাল সময়েটি ছিল সবথেকে বড় মায়া শহর। ঠিক একইরকম একটি প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে আমাদের বাঙলায়ও যাকে হরিকেল সভ্যতা নামে জানা যায়। আপনি চাইলে হরিকেল সভ্যতার ইতিহাস এখানে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন। এ সময় মায়া সভ্যতার সম্পুর্ন জনসংখ্যা ছিল ৫ থেকে ১৩ মিলিয়ন। হাইরক্লিফিক লিপিতে রক্ত আর নরবলির ছবি এখানে পাওয়া যায়। কখনই মায়া সভ্যতা একক গোস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেনি। অনেকগুলি শহর ও গোস্টি কেন্দ্রিক সভ্যতা এখানে ছিল। যাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ লেগে থাকলেও প্রত্যেকের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস ও লিখার ধরন একই রকমের ছিল। এই প্রশ্নটা মনে আসা স্বাভাবিক যে মায়া সভ্যতার শুরু টা হয়েছিল কিভাবে?


আর প্রতিটি সভ্যতার মতো মায়া সভ্যতায় ও কি প্রাচীন উপকথা বা গল্প আছে?

অবশ্যই আছে, Popol Vuh তে পাওয়া লেখা অনুযায়ী এই মহাবিশ্বের শুরুটা ছিল একদম শূন্য। তারপর আকাশ থেকে সমস্ত প্রানি তথা মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল।প্রাচীন ধর্মগ্রন্তের মতো এখানে গ্রেট ফ্লাডের কথা বলা হয়েছে। মায়াংদের সৃষ্টি রহস্যের গল্প প্রাচীন অনেক ধর্মগ্রন্থ্যের সৃষ্টি কাহিনীর সাথে মিলে যায়। যা পৃথিবীর প্রতিটি সভ্যতাকে একই সূত্রে বাধতে সাহায্য করে। মায়া সভ্যতার মাত্র চারটি বই অক্ষত অবস্তায় পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে তাদের সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা খুব সামান্যই জানতে পেরেছেন। বারো শতাব্দীতে ইউরুপ জুরে নতুন আবিস্কার পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতার আবিস্কার গুলোকে তুচ্ছ মনে করেছিল।

কিন্তু ইউরুপীও সভ্যতা মায়াং কেলেন্ডার সম্পর্কে সময়কালীন সময়ে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। তৎকালীন সময়ে মায়াং দের কাছে সময় সম্পর্কিত সবথেকে বেশি জ্ঞান ছিল। মায়া সভ্যতায় তিন ধরণের কেলেন্ডার পাওয়া গেছে। প্রথমটি সোলার কেলেন্ডার দ্বিতীয়টি সেক্রেট কেলেন্ডার যা ২৬০ দিনের কেলেন্ডার এবং সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ কেলেন্ডার এবং কাউন্ট কেলেন্ডার, যা ১১ই আগস্ট ৩১১৪ খ্রিঃপূর্বাব্দ থেকে আগামী ৬৩ মিলিওন বছরের কেলেন্ডার তৈরি করে রেখেছে। মায়াং কেলেন্ডার সিস্টেম ছিল সম্পূর্ণ ভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। এই কেলেন্ডার তৈরি হয়েছিল হাজার বছরের ও বেশি সময় ধরে সূর্য ও আকাশের অন্যান্য নক্ষত্রের অবস্থান দেখে। তাদের এই সময়জ্ঞান চাষবাস ও জীবনযাত্রার উন্নতির পথে সহায়ক হয়ে দাড়িয়েছিল।

মেছো আমেরিকার একমাত্র সভ্যাতা যারা হাইড্রোগ্লিফিক্সের ব্যবহার জানতো। বিভিন্ন হাইড্রোগ্লিফিক্স, কেলেন্ডার, পয়েট্রি, পাথরের ছাই ও ক্ষুধাই করা হাইড্রোগ্লিফিক্স ও মুর্তি মায়া সভ্যতার ধারনা দিয়েছে। এই প্রশ্ন টা আসা স্বাভাবিক যে গনিত ও জ্যোতিবিদ্যায় পারদর্শী এতো আধুনিক সভ্যতা কি হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছে? আর যদি হঠাৎ হারিয়ে যায় তাহলে এর পিছনে কারণ টা কি? প্রথমে প্রাচীন পুরাতত্ত্ববিদ বা এন্সেন্ট অ্যাস্ট্রনড দের মতামত অনুযায়ী মায়া সভ্যতার বিলুপ্তির কারন বিশ্লেষন করার চেষ্টা করব।


মায়া সভ্যতা এর ইতিহাস

লঙ কাউন্ট কেলেন্ডার

তারপর প্রচলিত প্রত্নতাত্ত্বিক কারণগুলো বিশ্লেষুন করবো। দক্ষিন আমেরিকায় অবস্থিত টিকাল ন্যাশনাল পার্ক গুয়েতেমালা tikal img যেটা ক্লাসিক মায়া শহরের একটি ধ্বংসাবসেস। শুধু একটা শহর নয় পোলেন্ডকি কুপেনের মতো এক সময়ের বড় শহর পরিত্যক্ত শহরে পরিনত হয়েছে। যদি ক্লাসিক মায়া সভ্যতার সময়কাল ধরি তবে কুড়ি মিলিওন মানুষের ৯৫% মানুষ হারিয়ে গিয়েছিল।
তবে যা ভাবছেন তা কিন্তু না অরা কোনো যুদ্ধের কারণে চলে যায়নি কারণ অখানে কোনো ধ্বংসের ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি। এর আগেই বলেছি মায়া কেলেন্ডার ছিল সবথেকে আধুনিক ও রহস্যময়। সময় সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিল অনেক বেশি এবং মজার বিষয় হলো মায়াদের হারিয়ে যাওয়া তাদের কেলেন্ডার এর সাথে মিলে যায়। কারন লঙ কাউন্ট কেলেন্ডার তাদের জীবনযাত্রার সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল এবার মায়া লঙ কাউন্ট কেলেন্ডার সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দিচ্ছি।

লঙ কাউন্ট কেলেন্ডার ৫২২১ বছরে এক পা ওয়ান গ্রেট সাইকেল সম্পূর্ণ করে এই এক গ্রেট সাইকেল টি ১৩ টি ভাগে বিভক্ত ছিল। অর্থাৎ প্রতিটি ভাগে প্রায় ৪০০ বছর, এই প্রতিটি ভাগকে বলা হতো বাক্টুন আর এই প্রতিটি বাকটুনে মায়ানরা অনুষ্ঠান করতো এই বাকটুন হিসেবে যদি দেখা যায় ১০ম বাকটুনে তারা কোনো রকমের অনুষ্ঠান করেনি আর এই ১০ নাম্বার বাকটুন ছিল ৮৩৮ খ্রিঃ। ক্লাসিক সময়ের অন্তর্গত সেই সময়ের সবথেকে বড় শহর ছিল টিকাল কিন্তু সেই সময় টিকালে কোনো অনুষ্ঠানের চিহ্ন ছিল না। তবে কি তাদের হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার কথা কেলেন্ডারেই লুকিয়া আছে। এই সূত্র ধরে মায়া উপকথা বেশ জনপ্রিও যেখানে বলা আছে মায়ান সভ্যতার মানুষেরা তাদের নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছে ,ব্যপারটি গল্পের মতো সুনালেও এর সাথে যুক্ত হয়েছে ক্লাসিক মায়া সভ্যতার সবথেকে বিখ্যাত শহর টিকালের সাতটি পিরামিডের সম্পর্ক।

মায়া সভ্যতা এর ইতিহাস

মায়া সভ্যতা এর মায়া পিরামিড

টিকালের সাতটি পিরামিডের সাথে সম্পর্কিত প্লিডিস্ট কন্সটিলেশন আর এই প্লিডিস্ট কন্সটিলেশনে স্কাই গড এর গল্প মায়াংদের কাছে শুধু ছিল তা কিন্তু নয় পৃথিবীর সমস্ত সভ্যতায় এই নক্ষত্রমন্ডলির সাথে সম্পর্কিত গল্প প্রচলিত আছে। প্রাচীন পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করেন যে, এরকম হতে পারে মায়া স্ট্রাকচারগুলোর সাথে প্লিডাস্ত কন্সটিলেশনে্র সম্পর্কের কারণ মায়ানরা ওই স্টার সিস্টেম থেকেই পৃথিবীতে এসেছিল এবং সেখানেই ফিরে গেছে। অ্যালিয়েন আবডেকশনের যতগুলো বিবরন পাওয়া যায় সেখানে অপরিত জীবন্ত মানুষটা দাবি করেন প্লিডার স্টার সিস্টেম থেকে আসা এলিয়েন দের দ্বারাই অপরিত হয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে এলিয়েন আবডেকশ ও কেলেন্ডার সিস্টেমের সাথে মায়া সভ্যতার হটাৎ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কযুক্ত বলেই প্রাচীন পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করেন। একটি কেলেন্ডার সাইকেলের শেষ আর অন্য স্থানে নতুন কেলেন্ডার সাইকেলের শুরু। এসবের প্রমান স্বরুপ অনেকগুলি পাথরের ব্লক, স্তম্ভ, স্তাপত্য পাওয়া গিয়েছে যা এই থিওরিটিকে সমর্থন করে। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রমান হল ৬১৫ থেকে ৬৮৩ খ্রিঃ পর্যন্ত রাজত্য করা কিং পাকালের এই ছবিটি। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে কোনো এডভান্স স্পেসশিপে রাজা পাকাল বসে আছেন। আর এখানেই সবথেকে বড় খটকা কারণ সামান্য চাষ-বাসের উপর নির্ভরশীল মায়ান সভ্যতার মানুষেরা এতো বিশাল পিরামিড। আপনি চাইলে এই ব্লগটি পড়ার পরে বঙ্গদেশের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারেন এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে।

গণিত, জ্যাতিরবিদ্যা তথা আশ্চর্য রকমের যন্ত্রের ছবি কিভাবে আসলো?

কিং পাকালের সমাধি যেখানে এই ছবি পাওয়া গিয়েছিল তার সাথে আশ্চর্য রকমের মিল পাওয়া গিয়েছে ইজিপশিয়ান পিরামিডের। দুটি সভ্যতার ভৌগলিক দূরত্বের পরও এতো মিল সেটাও আশ্চর্যের ।এই আশ্চর্য দেখতে ছবিটি কি কোনো স্পেসশিপ যার মধ্যে বসে আছেন কিং পাকাল, নাকে অক্সিজেন মাস্ক, হাতে কন্ট্রলার আর নিচের দিক দিয়ে বের হচ্ছে ধুয়া। তবে কি মায়া শিল্পীরা যা চুখে দেখেছিল তাই একেছিল। আর যদি সেটা হয় তবে একটা বড় প্রমান যে প্রাচীন মায়নদের সাথে এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল দের সাক্ষাত হয়েছিল। এই থিওরির উপর ভিত্তি করে এরিক ওয়ান ডেনিকানের বই CHARIOTS OF THE GODS? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই পুরো ব্যাপারটা ছিল একটা থিওরি যার মাধ্যমে মায়কা সভ্যতার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমান ও তার সাথে ইতিহাসের যুগ করলে একটা অন্য ছবি পাওয়া যায়।

তিনটি প্রধান কারন ছিল মায়া সভ্যতার ধ্বংসের প্রথমত প্রতিনিয়ত যুদ্ধ দ্বিতীয়টি প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট আর তৃতীয়টি খরা। এই তিনটি বিষয় কে একত্রিত করলে একটা স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে যেমন ক্লাসিক সভ্যতার সচেয়ে বড় শহর টিকাল যেখানে ৬০হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করত কিন্তু যুদ্ধের প্রয়োজনে এখানে ২ লক্ষ মানুষের বসতি গড়ে উঠে এর ফলে যা হয়েছিল প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট বিশেষ করে বন জংগল কাটা আর তার ফলাফল মাটির ক্ষয় এর সাথে ক্রমাগত খরা সব মিলিয়ে মাটির উর্বরতা নষ্ট ফলে কমে যাওয়া খাদ্যের যোগান। ভালো খাদ্যের জন্য যখন হাজার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে মায়ান রাজারা ঈশ্বর কে খুশি করতে অক্ষম হচ্ছিলেন তখন প্রজাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে যা রুপ নেয় গৃহ যুদ্ধের এর ফলে বেশির ভাগ মানুষ মারা যান, বেচে যাওয়া মানুষ পারি দেন উত্তরের শহর গুলুতে যেমন চিচেন,উসমান ইত্যাদি।


মায়া সভ্যতার শেষ অবস্থা

৮২০ খ্রিঃ থেকে ৮৬০ খ্রিঃ, অন্যদিকে ১০০০ খ্রিঃ থেকে ১১০০ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রবল খরা মায়া সভ্যতার ভর কেন্দ্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে ছিল ১৩০০ শতাব্দির শেষ পর্যন্ত এই স্থানান্তর চলতে থাকে। এর পর ১৪৪৮ এ স্পেনিসরা আসে এবং সাথে বিভিন্ন রোগও নিয়ে আসে যা আগামী ১০০ বছরে ৯০% জনসংখা সম্পুর্ন ধ্বংস করে দিয়েছিল। মায়া সভ্যতা ছিল প্রথম মেছো আমেরিকান সভ্যতা যাদের সাথে স্পেনিস দের প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল কিন্তু স্পেনিসরা সোনা সমৃদ্ধ আস্টেকদের আক্রমন করে এবং লুট করে প্রায় ১০০ বছর পর ১৫২৮ খ্রিঃ আবার ফিরে আসে কিন্তু মায়া সভ্যতা আস্টেক বা ইনকাদের মতো এতো সহজে হার মানেনি, চোরাগুপ্তা আক্রমন করেছিল বটে কিন্তু এই সামান্য আক্রমন তার সাথে স্মল পক্সের মতো রোগ মায়া সভ্যতা জুরে মহামারি তৈরি করেছিল ।

পরবর্তিতে স্পেনিস বাহিনী যখন মায়া সভ্যতায় পৌছায় যুদ্ধের আগে রোগ তাদের উজার করে দিয়েছে। এভাবেই শেষ হলো ইতিহাসের এক বিশাল মাপের অধ্যায় আর হারিয়ে গেল অজস্র হাইড্রোগ্লিফিক্সের লেখা বই, গনিত এবং জ্যোতিবিদ্যা তথাকথিত উন্নত সভ্যতা গ্রাস করলো প্রাচীন সভ্যতাটিকে। কিন্তু কোথা থেকে এসেছিল এই উন্নত প্রাচীন সভ্যতা তাদের কে বা কারা এতো উন্নত জ্ঞান ভান্ডার উপহার দিয়েছিল সেই কথাগুলো এখনো খুজে যাচ্ছে প্রত্নতত্ন বীদরা, কালের গহ্বরে হয়তো লুকিয়ে আছে কোনো গুপন গনিতে যা না বুঝা অংক মিলিয়ে দিবে, জলন্ত ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সত্যি বেরিয়ে পরবে এবং ইতিহাস আবার লেখা হবে নতুন করে।

Related Posts

Leave a Comment